সোমবার ৩০ আগস্ট ২০২১ - ১৪:২৪
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী

হাওজা / মানবতার মুক্তি, জিহাদ এবং উৎসর্গ।(আয়াতুল্লাহ মহিউদ্দিন হায়েরী শিরাজী)

হাওজা নিউজ বাংলা এজেন্সির মতে, ইমাম হোসায়েন (আঃ) বলেছেন : আমি যে পথ অবলম্বন করছি তা আমার নিয়তি এবং এই চিঠিগুলি আমার জন্য হুজ্জত এবং প্রমাণও। কিন্তু এগুলো আমার জন্মের আগেই আমার জন্য লেখা হয়েছিল।

"আমি আমার নানা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে স্বপ্নে দেখেছি এবং তিনি বললেন :

يَا حُسَيْنُ اخْرُجْ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ شَاءَ أَنْ يَرَاكَ قَتِيلًا

"হে হোসায়েন আঃ! তুমি (মদিনা) ত্যাগ কর কেননা মহান আল্লাহ তাআলা তোমাকে শহীদ হতে দেখতে চান।"

তারপর ইমাম হোসায়েন (আঃ) বলেন : আমি যখন আমার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তখন নবী করিম (সাঃ) বললেন :

إِنَّ اللَّهَ قَدْ شَاءَ أَنْ يَرَاهُنَّ سَبَايَا

"আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইচ্ছা করেন যে, তাঁরা বন্দী হোক।"

তাদের বন্দীদশা লোকদের প্রশিক্ষণের জন্যও প্রয়োজন। অর্থাৎ, তুমি এবং তোমার পরিবার এসো এবং এই সমস্যার মুখোমুখি হও, যাতে মানুষ পথভ্রষ্ট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

আমাদের সময়েও এই একই কথা প্রযোজ্য। আজও, মুমিনদের প্রতিরোধই মুনাফিক ও কাফেরদের চিহ্নিত করার কারণ।

দুই বা তিন দশক আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি আজকের মত ছিল না।  বিশ্বের মানুষ আজ আমেরিকা সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই ওয়াকিবহাল।

কয়েক বছর আগে সমগ্র বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ, তাকফিরি এবং আল কায়েদার মতো বর্বর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পতাকাবাহী হিসেবে বিবেচনা করত, কিন্তু আজ তাকেই সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের প্রধান পতাকাবাহী হিসেবে বিবেচনা করে। অতীতে, সৌদি আরব বিশ্বজুড়ে "খাদিমে হারামাইন শারীফাইন" হিসাবে পরিচিত ছিল, কিন্তু আজ ইসরায়েলের মিত্র হিসাবে পরিচিত।

যদি ফিলিস্তিনি, ইয়েমেনি, ইরাকি এবং লেবানন অবিচল ও দৃঢ়তা প্রদর্শন না করত, তবে বাতিল কখনোই প্রকাশ পেতো না এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট হতো না।

বর্তমান বিশ্বে হিজবুল্লাহ ওই মর্যাদায় উপনীত আছে যেমনটা অতীতে সৌদি আরবের ছিল। আজ, হিজবুল্লাহ ইসলামী প্রতিরোধের পতাকাবাহী হিসেবে পরিচিত।

এমনকি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানেরও ইমাম খোমেনী (রহঃ)-এর যুগে বর্তমান সময়ের মতো মর্যাদা ছিল না।  তখন তারা ইমাম খোমেনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাত, কিন্তু আজ তারা বলে যে "ফিলিস্তিনকে রক্ষা করার একমাত্র শক্তি হল ইরান।" এগুলো সব ইরানের কারণেই, আজ হিজবুল্লাহ, সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেন প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা করছে।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

লেখা: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha